Saturday, October 26, 2019

সূরা মসজিদ ইসলামী স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন

No comments:

সূরা মসজিদ ইসলামী স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন


স্থাপত্য ঐতিহ্যের এক দৃষ্টিনন্দন অপরূপ নিদর্শন ঘোড়াঘাটের সূরা মসজিদ। মসজিদটি ঘোড়াঘাট থেকে প্রায় পাঁচ মাইল পশ্চিমে এবং হিলি থেকে প্রায় ১২ মাইল পূর্বে হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কের উভয় পাশে চরগাছো  মৌজায় অবস্থিত। মসজিদটি কেউ বলে সূরা মসজিদ আবার কেউ বলে সুজা মসজিদ। মসজিদটির নাম সূরা বা সুজা কেন হলো তা আজও কোনো গবেষক উদঘাটন করেননি। এখানে মসজিদটির নাম সূরা বা সুজা হওয়ার কোনো সঠিক উপকরণও নেই। তবে মসজিদটির নির্মাণশৈলী দেখে অনেক গবেষক অনুমান করেছেন যে মসজিদটি হোসেন শাহী আমলে নির্মিত। গবেষক আকামো যাকারিয়া ও সৈয়দ মাহামুদুল হাসান গৌড়ের লটন ও কুসুম্বা, সুনিয়া দীঘি মসজিদের গঠনশৈলীর বর্ণনা অনুযায়ী এটি সুলতানী আমলে এবং হোসেন শাহী আমলে নির্মিত বলে একমত পোষণ করেছেন।



সমপ্রতি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোখসানা বেগম পুকুর পাড়ে বসার জন্য একটি বাঁধাই করা ঘাট নির্মাণ করে দিয়েছেন। দীঘির ঘাট থেকে প্রায় একশ’ ফুট দক্ষিণ-পশ্চিমে দীঘির দক্ষিণ পাড়ের পশ্চিম অংশে দক্ষিণ দিকে এবং সদর সড়কের উত্তরদিক বরাবর প্রায় চার ফুট উঁচু একটি সমতল প্ল­াটফর্ম রয়েছে। প্লাটফর্মের পশ্চিম ভাগই সুলতানী বাংলার দৃষ্টিনন্দন অনন্য স্থাপত্য সূরা মসজিদ অবস্থিত। মসজিদটির একটি বর্গাকার একগম্বুজবিশিষ্ট নামাজ কক্ষ এবং পূর্ব ভাগে ছোট তিনগমু্বজবিশিষ্ট একটি বারান্দা রয়েছে। মসজিদটি এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে এখানে জুম্মাসহ প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ আদায় করা হয়।

সূরা মসজিদ

No comments:


সূরা মসজিদ
স্থাপত্য ঐতিহ্যের এক দৃষ্টিনন্দন অপরূপ নিদর্শন ঘোড়াঘাটের সূরা মসজিদ।








ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের চৌগাছা মৌজায় (হিলি রোড) প্রাচীন এ মসজিদটি অবস্থিত। ঘোড়াঘাট উপজেলা কেন্দ্র থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে পাকা রাস্তার উত্তর ধারে ৩৫০-২০০ গজ আয়তন বিশিষ্ট বিশাল একটি পাড়ওয়ালা দীঘির দক্ষিণ ধারে আলোচ্য মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটি জনহীন এক জনপদের নীরব সাক্ষী। এর নাম নিয়ে আছে নানা কথা কেউ বলেন সৌর মসজিদ , কেউ বলেন সুরা মসজিদ , আবার কেউ বলে শাহ সুজা মসজিদ। সুর শব্দের অর্থ অপদেবতা বা জ্বীন। স্থানীয় মুরুববীরা জানান, এক রাতের মধ্যে জ্বীনেরা এটি নির্মাণ করে দেন, তাই এর নাম সুরা মসজিদ হয়েছে। সৌর শব্দের অর্থ আসমানী  বা গায়েবী অর্থাৎ লোকচক্ষুর আড়ালে যা ঘটে বা হয় তাই গায়েবী। অর্থাৎ গায়েবী ভাবেই মসজিদটি নির্মীত হয়েছে। আবার অনেকে বলেন- মোগল আমলে বাংলার নবাব সুজা এটি নির্মাণ করে দেন বলে এর নাম শাহ সুজা মসজিদ হয়েছে। এমন ধরণের আরো অনেক কথা লোকমুখে শোনা যায়। বাস্তবে শাহ সুজার ক্ষমতা গ্রহণের অনেক আগে এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। মসজিদের নামকরণ ও নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে উপরে উল্লেখিত কোন তথ্য সঠিক বলে মেনে নেয়া যায় না। কারণ , যে ক্ষেত্রে মসজিদের শিলালিপি বা প্রমাণ পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে নির্মাণশৈলী বা স্থাপত্য কাঠামো নির্মাণকাল নির্ধারণে একটি অনুসঙ্গ বলে বিবেচিত হয়। এ ক্ষেত্রে আলোচ্য মসজিদের শিলালিপি নেই। তাই গঠনশৈলীর উপর ভিত্তি করেই সম্ভাব্য নির্মাণকাল বের করা যায়। আলোচ্য মসজিদটির বাইরের দিকের আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৪০ ফুট এবং পূর্ব পশ্চিমে ২৬ ফুট। চার ফুট উচু মজবুত প্লাটফর্মের উপর মসজিরদর কাঠামো গড়ে উঠেছে।  প্রধান কক্ষের আয়তন ভিতরে ১৬´১৬ ফুট। প্রধান কক্ষের সাথে যুক্ত আছে ৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা। মসজিদের বাইরের দিবে দেয়ালে গায়ে ছোট ছোট খোপকাটা টেরাকোটা অলংকরণ ইমারতের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও লতাজাতীয়াভিনব নকশায় বাইরের দেয়াল সুসজ্জিত যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করে।  ইতিহাসবিদ অধ্যাপক দানী এটিকে গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এর আমলে নির্মিত বলে অনুমান করেন। ১২আলোচ্য এই মসজিদটি সুলতানী আমলে ( ১৪৯৩-১৫১৮) খ্রিষ্ঠাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়। ১৩




ইতিহাস


এ মসজিদকে নিয়ে অনেক লোককথা রয়েছে। যার সঠিক কোন তথ্য মিলেনি। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, এক রাতের মধ্যে জ্বীনেরা এটি নির্মাণ করে দেন, তাই এর নাম সুরা মসজিদ হয়েছে।ধারণা করা হয় মসজিদটি সুলতানী আমলে নির্মিত। এর নাম কেউ বলেন সৌর মসজিদ , সুরা মসজিদ , আবার কেউ বলে শাহ সুজা মসজিদ।


অবস্থান


চৌগাছার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নে বড় দীঘির দক্ষিণে প্রাচীন এ মসজিদটি অবস্থিত।


স্থাপত্যশৈলী


মসজিদের বাইরের দেয়ালে গায়ে ছোট ছোট খোপকাটা টেরাকোটা অলংকরণ ইমারতের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে এবং লতাজাতীয়াভিনব নকশায় বাইরের দেয়াল সুসজ্জিত যা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। 


 
back to top